ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের (উত্তরপাড়া) এলাকার আমিনুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী লুৎফার (৩৮) বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক, বিভিন্ন এন জি ও (নন গভমেন্ট অর্গানাইজেশনের) এক ডজন সংস্থা থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর আগে নোয়াপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার আমিনুল হকের ছেলে প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের সাথে নবীনগর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার দুধ মিয়ার মেয়ে লুৎফার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লুৎফা কিছুদিন সুশৃংখল চলাফেরা করলেও স্বামী দেলোয়ার প্রবাসে থাকার সুবাদে শুরু হয় তার উশৃংখল জীবন যাপন। লুৎফা দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী। লুৎফা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপনসহ আওয়ামীলীগের সাবেক ক্ষমতাধর বেশ কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায়, তার শ্বশুর বাড়ির লোকদেরকে পেশীশক্তি দেখিয়ে স্বামীও শ্বশুর আমিনুল হকের বাড়ির দলিল কুক্ষিগত করে, তাদের কে জিম্মি করে এলাকার আশেপাশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা যায়। লুৎফা বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর গ্রামের সোহেলের কাছ থেকে তার স্ত্রী মাহমুদা কে পেশকারের চাকরি দিবে বলে ১০ লক্ষ টাকা, দেবর ইব্রাহিমের কাছ থেকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ৩ লক্ষ্য ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এনজিও সংস্থার মধ্য মালেক জোবেদা ফাউন্ডেশন থেকে ৫ লক্ষ টাকা, এনজিও সংস্থা বীজ থেকে ৮ লক্ষ টাকা, এনজি সংস্থা জাগরণের ৫ লক্ষ টাকা, এনজিও সংস্থা সেতুর ৩ লক্ষ্ টাকা, এনজিও সংস্থা গ্রামীন ব্যাংক, এনজিও সংস্থা আশা, এনজিও সংস্থা ব্যুরো বাংলাদেশের ৬ লক্ষ টাকা, উত্তরা ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ টাকা, আল- আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৪ লক্ষ টাকাসহ প্রায় ডজন খানেক বিভিন্ন সংস্থা থেকে ১ কোটি টাকা লুৎফা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লুৎফার শশুর আমিনুল হকের অভিযোগ, লুৎফা তার ছেলে বিদেশে পাঠাবে বলে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে আমাকে একাউন্ট করিয়ে, চেক বইয়ের একটি পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে ২১ লক্ষ টাকা বসিয়ে আমার নামে ২১ লক্ষ টাকা পাবে, এই মর্মে আদালতে মিথ্যা মামলা করে দেয়। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কিছু বলতে গেলেই তাদেরকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখতো বলে জানা যায়।
লুৎফার শশুর আমিনুল হক জানায়,বিভিন্ন এনজিওর লোক আমার বাড়ীতে এসে বসে থাকে টাকার জন্য। টাকাতো আমার ছেলের বউ লুৎফা নিয়ে গেছে, আমার তেমন জায়গা সম্পত্তি নেই, আমি কিভাবে এই টাকা পরিশোধ করবো? এ ব্যাপারে আমিনুল হক কসবা থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। লুৎফার দেবর আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ২ শতক জমি বিক্রয় করবে বলে বায়নাপত্র দলিল করে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু দলিল না করে দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এবং ওই জমি অন্য লোকের কাছে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীর অপতিরোধ্য ক্ষমতা দেখিয়ে স্বামীও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে প্রতিনিয়তই প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসতো লুৎফা। লুৎফার হুমকিতে দিশেহারা শশুরও স্বামীর পরিবারের লোকজন। অনৈতিক উশৃংখল অশ্লীলভাবে চলাফেরার অভিযোগও রয়েছে লুৎফার বিরুদ্ধে। যার প্রমাণ ইতিমধ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছেছে। বিনাউটি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য অনেকেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে লুৎফার কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে, সে বিভিন্ন কৌশলে টাকা আত্মসাৎ এর কথা এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের কে মামলা করার হুমকি দেয়।